Saturday 30 July 2016

পহেলা দুষ্টুমির দারুণ দিশারীরা ছিলো এক দল বৈশাখী দুপুরের লাঠিয়াল

এটা একটা সাইলেন্ট ফিল্মের ওপেনিং ক্লিপ।

ট্রান্সজিস্টারে ধরপাকড়ের শব্দগুলো লাল বাটন টিপে ট্রান্সজিস্টারের দোকানিরা সেদিন  রেকর্ড করেনি। শব্দগুলো হারিয়ে গ্যাছে একটু পরেই।

হয়তো উড়ো চিঠিতে হুমকি পাঠানো হয়েছিলো দোকানে দোকানে, শব্দগুলো জমিয়ে রাখলে শর্টসার্কিটের ধোঁয়ায় ধুয়ে ফ্যালা হবে ওই ট্রান্সজিস্টরগুলো।

কল্পনার লেন্সে চোখ রাখলে তাও দ্যাখা যায়, চারটা সমকামীকে টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তুলতে তুলতে খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসছে কয়েকটা নেভি ব্লু'র ইউনিফর্ম! আর নেভি ব্লু'র বোতামের নিচে ঢেকে ফ্যালা ব্যাধিহীন ব্যাথাহীন বুকগুলো ভরে উঠছে তৃপ্তিতে, যেহেতু সমকামীরা একটু পরেই ছুটতে ছুটতে ছিটকে পড়বে বক্ষব্যাধি স্পেশালিস্টদের চেম্বারে!

সময় তখন দুপুর একটা কুড়ি , এপ্রিলের চৌদ্দ 

 রাস্তায় নামলেই লাঠিচার্জের মিউজিক এখনও শাহবাগে শোনা যায় কি না, চেকপোস্টগুলো ঘুরে ঘুরেও ইদানীং আর শুনতে পায়না কেউ। চেকপোস্টগুলো কাজ শেষ করে ঘুমিয়ে গিয়েছে।

 সেদিন ছিলো পহেলা বৈশাখ। প্রিন্টিং প্রেসে সমকামী কথাটার অসংখ্য অশুদ্ধ দন্ত্য-স প্রিণ্ট হয়েছিলো সেইদিন।




 নির্বাক ফিল্মটার ক্লাইম্যাক্সে অথবা শৃঙ্গারে  শীৎকারে পৌঁছুতে তখনও দশ দিন বাকি। চাপাতিতে শাণ দিতে এক্সপার্টরাও মাঝে মাঝে দশ দিন দেরি করে ফ্যালে। দর্শকেরা হলে বসে বসে দশদিন ধরে হাই তুলছিলো।

এটা তার পূর্বরাগ। এখান থেকেই রিভাইস শুরু হোক।

  

No comments:

Post a Comment